রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও মুগদায় এক গৃহকর্মীসহ উদ্ধার করা হয়েছে তিনজনের ঝুলন্ত মরদেহ। এসব মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) যাত্রাবাড়ীর শেখদী ও মাতুয়াইল উত্তরপাড়া এবং মুগদার মানিকনগর এলাকা থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে যাত্রাবাড়ীর শেখদী স্কুল রোড সংলগ্ন এক বাসার নিচতলা থেকে উদ্ধার করি বৃষ্টি আক্তার (১৬) নামের এক গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ । পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই বাসার গৃহকর্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জানিয়েছেন- তাদের বাসায় কাজ করতো বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাতে নিজের কক্ষে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না ও গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় সে। কী কারণে আত্মহত্যা করেছে এখনো জানা যায়নি, বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। বৃষ্টি খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানার অটলটিলা এলাকার বাবুল মিয়ার কন্যা।
যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে যাত্রাবাড়ীর মতুয়াইল উত্তর পাড়ার এক বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করি কাউসার হোসেন রাজু (২৮) নামের এক যুবকের মরদেহ। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, কী কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রাজু বিষয়টি আমরা জানতে পারিনি, বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ। রাজুর কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার খাইরুল পোদ্দারে বাড়ির মফিদুল ইসলামের ছেলে।
মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাইয়ুম বাহাদুর বলেন, মানিকনগরের প্রফেসর গলির এক বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছি মো. নাদিম (৩৬) নামের এক যুবকের মরদেহ । মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন নাদিম ।
Leave a comment