ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস, গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে আরও দুই ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে। একই সময়ে ইসরায়েল ১৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর মরদেহ ফেরত দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে মরদেহ দুটি হস্তান্তর করা হয়। পরদিন বুধবার (২২ অক্টোবর) ভোরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করে জানায়, তারা হলেন—আরিয়ে জালমানোভিচ (৮৫) বেসামরিক নাগরিক, তামির আদার (৩৮) — সেনাসদস্য
আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি) জানায়, গাজায় আল-কাসেম ব্রিগেড (হামাসের সশস্ত্র শাখা) মরদেহ দুটি তাদের কাছে হস্তান্তর করে। পরে আইসিআরসি মরদেহগুলো ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ভাষ্যমতে, আরিয়ে জালমানোভিচ ২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর জিম্মিদশায় মারা যান। তামির আদার ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলার সময় নিহত হন। এরপর তার মরদেহ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।
হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে তারা এখন পর্যন্ত ১৫ জন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, আরও ১৩ জনের মরদেহ ফেরত দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে হামাস অভিযোগ করেছে—“গাজার বিভিন্ন এলাকায় এখনো ইসরায়েলি সেনারা অবস্থান করছে এবং যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করছে, ফলে মরদেহ উদ্ধারের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।”
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে উভয়পক্ষই প্রচুর প্রাণহানির মুখে পড়েছে। সম্প্রতি কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় সীমিত মানবিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়, যার আওতায় বন্দি ও মরদেহ বিনিময় প্রক্রিয়া চলছে।
সূত্র: আল জাজিরা
Leave a comment