রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ২৭ জনের মধ্যে ২৫ জনই শিশু। বাকি দুজনের একজন বিমানটির পাইলট, অপরজন ছিলেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক নারী শিক্ষিকা।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ জন। এদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু। তাদের বয়স ১১ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। এরা সবাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। বাকি দুজনের একজন বিমানটির পাইলট এবং অপরজন একজন নারী শিক্ষক।”
ডা. সায়েদুর আরও জানান, “দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৭৮ জন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বার্ন ইউনিটে দুইজনকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমরা চিকিৎসার সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। যেসব শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক আহত হয়েছেন, তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।”
এর আগে সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুলের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। মুহূর্তেই ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। সে সময় ভবনের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত বহু শিক্ষার্থী ও শিক্ষক দগ্ধ হন।
দুর্ঘটনার পরপরই যৌথভাবে উদ্ধার কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা। আহতদের হেলিকপ্টারে করে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
Leave a comment