সিগন্যালের গ্রুপ চ্যাটে সামরিক অভিযান নিয়ে আলোচনা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সদস্যরা। সেই চ্যাটে ছিলেন এক সাংবাদিকও।পরে সে তথ্য ফাঁস করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের একটি সিগন্যাল গ্রুপ চ্যাটে ভুলবশত একজন সাংবাদিককে যুক্ত করা হয়, যার ফলে গোপন সামরিক পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যায়। এই গ্রুপে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার সদস্য, উপরাষ্ট্রপতি জেডি ভান্স এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন। ভুলক্রমে ‘দ্য আটলান্টিক’ পত্রিকার সম্পাদক জেফরি গোল্ডবার্গকেও এই গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গোল্ডবার্গ প্রথমে সন্দেহ করেছিলেন যে এই গ্রুপটি প্রকৃত নয়, কারণ তিনি কল্পনা করতে পারেননি যে জাতীয় সুরক্ষা বিষয়ক আলোচনা এভাবে সিগন্যালের মাধ্যমে করা হবে। তবে, গ্রুপে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের উপর আসন্ন বিমান হামলা নিয়ে আলোচনা হয়, যা হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই গোল্ডবার্গ জানতে পারেন। পরে হামলা বাস্তবায়িত হলে তিনি বুঝতে পারেন যে গ্রুপটি আসল ছিল।
এই ঘটনার পর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিষদের মুখপাত্র ব্রেন হিউজেস বলেন, “গ্রুপের থ্রেড দেখে মনে হচ্ছে, এটা ঠিক গ্রুপ। আমরা দেখছি, কী করে ওই নম্বরটি অনিচ্ছাকৃতভাবে ঢুকে গেছিল।”
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ অবশ্য দাবি করেছেন, কোনো সামরিক পরিকল্পনার কথা গ্রুপে শেয়ার করা হয়নি। তিনি হাওয়াইতে বলেছেন, ‘আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি, কেউই গ্রুপে সামরিক পরিকল্পনার কথা শেযার করেননি।’ তিনি বলেছেন, ‘গোল্ডবার্গ প্রতারক এবং সাংবাদিক হিসাবে তার কোনো সুনাম নেই।’
কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা এই ঘটনার পূর্ণ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। হাউসের ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফরিস বলেছেন, কংগ্রেসের উচিত বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা এবং এ ধরনের ঘটনা যেন পুনরায় না ঘটে তা নিশ্চিত করা। সশস্ত্র বাহিনী সংক্রান্ত কমিটির সদস্য প্যাট রায়ান সামাজিক মাধ্যমে উল্লেখ করেছেন যে রিপাবলিকানরা যদি হাউসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা না করেন, তবে তিনি নিজে থেকে এই আলোচনার উদ্যোগ নেবেন।
এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুতর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে এবং প্রশাসনের গোপন তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
Leave a comment