মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রভাবের প্রেক্ষিতে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সম্প্রতি স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, ইরানেব কোনো প্রক্সি বাহিনীর প্রয়োজন নেই। তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী হুমকির প্রতিক্রিয়া স্বরূপ, খামেনি যুক্তরাষ্ট্রকে প্রশ্ন করেন : “প্রক্সি মানে কী?”
গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইয়েমেনের হুতিদের যেকোনো হামলাকে ইরানের হামলা হিসেবে গণ্য করা হবে। এই রকম হুমকির পর, ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতার কাছ থেকে একটি তীব্র ও প্রাসঙ্গিক প্রতিক্রিয়া আসা শুরু হয়।
২১ মার্চ রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায় খামেনি বলেন , ইয়েমেনের হুতিরা নিজেদের আইন ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করে। তাঁর মতে, আঞ্চলিক প্রতিরোধ বাহিনীকে, ইরানের প্রক্সি বাহিনী হিসেবে চিহ্নিত করা যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুতর ভুল। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, ইয়েমেনের জনগণের নিজস্ব উদ্দেশ্য রয়েছে এবং ওই অঞ্চলের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোরও স্বতন্ত্র প্রেরণা আছে। সুতরাং, এসব গোষ্ঠীকে ইরানের প্রক্সি হিসেবে বিবেচনা করার কোনো যুক্তি নেই।
তিনি নিশ্চিত করে জানান যে, ইরান কারও সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হতে চায় না। তবে, যদি কেউ ইরানের ওপর আঘাত হানে, তবে অবশ্যই পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ, কিন্তু আত্মরক্ষামূলক নীতি প্রতিষ্ঠার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার এ বক্তব্য স্পষ্ট করে তুলে ধরে যে, মধ্যপ্রাচ্যে বিদ্যমান প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো স্বাধীনভাবে নিজেদের উদ্দেশ্য পরিচালনা করে এবং ইরান কোনো ধরনের প্রক্সি বাহিনী পরিচালনার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়নি।
Leave a comment