প্রায় ১০ কোটি টাকার বিনিময়ে মাল্টার নাগরিকত্ব পেতে দুইবার ব্যর্থ হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের স্ত্রী শাহীন সিদ্দিক ও মেয়ে বুশরা। ২০১৩ এবং ২০১৫ সালে নাগরিকত্বের আবেদন করা হলেও দুর্নীতি, অর্থপাচার, এবং ঢাকার জমি আত্মসাতের অভিযোগে তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে মাল্টার পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ। ব্রিটেনের ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ফাঁস হওয়া নথির ভিত্তিতে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শাহীন সিদ্দিক ঢাকার জমি আত্মসাৎ করে “প্রচ্ছায়া” নামক একটি সংগঠনের মাধ্যমে আর্থিক সুবিধা নিয়েছিলেন। তার নামে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে একাধিক দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হওয়ায় মাল্টার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাদের আবেদন নাকচ করে। দ্বিতীয়বার বুশরার সঙ্গে যৌথভাবে নাগরিকত্বের আবেদন করলেও সেটি গ্রহণ করা হয়নি।
নথি অনুযায়ী, বুশরা লন্ডনের একটি ফ্ল্যাট থেকে নাগরিকত্বের আবেদন করেন, যা তার চাচাতো বোন টিউলিপ সিদ্দিকের বাসার কাছেই অবস্থিত। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে স্নাতক বুশরা পরে বিনিয়োগ ব্যাংক জেপি মরগানে যোগ দেন, কিন্তু ২০১৮ সালে হঠাৎ চাকরি ছেড়ে ফ্যাশন এবং ভ্রমণবিষয়ক ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ শুরু করেন।
শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা থাকা অবস্থায় তারিক সিদ্দিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঢাকার জমি আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ। হাসিনার সরকার পতনের পর অক্টোবরে তারিকের পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গুমের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, নাগরিকত্ব না পেলেও বুশরা এবং শাহীন মাল্টার নাগরিকত্বের প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য অর্থ ব্যয় করেন। তবে মাল্টার সরকারি গেজেট নিশ্চিত করেছে, তাদের কেউই নাগরিকত্ব পাননি।
Leave a comment