ঢাকাই চলচ্চিত্রের নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় নায়িকা বনশ্রী মারা গেছেন। মঙ্গলবার সকালে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মো. ইব্রাহিম গণমাধ্যমকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে বনশ্রী হৃদরোগ, কিডনির সমস্যাসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। গত পাঁচ দিন ধরে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জন্ম ও পরিবার
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বনশ্রীর জন্ম মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়নের শিকদারকান্দি গ্রামে। বাবা মজিবুর রহমান মজনু শিকদার ও মা সবুরজান রিনার তিন সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। শৈশবে পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। মৃত্যুকালে এক সন্তান কে রেখে গেছেন তিনি (মেহেদী হাসান রোমিও) । মঙ্গলবার বাদ আসর নিজ গ্রামে নানা বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
রুপালি পর্দায় যাত্রা
১৯৯৪ সালে ‘সোহরাব রুস্তম’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে বনশ্রীর। নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের বিপরীতে অভিনীত সেই চলচ্চিত্র ব্যবসা সফল হয় এবং তাকে আলোচনায় আনে। পরবর্তী সময়ে নায়ক মান্না, আমিন খান ও রুবেলের বিপরীতে অভিনয় করে তিনি দর্শকের মন জয় করেন। প্রায় এক দশক তিনি ঢাকাই চলচ্চিত্রের পরিচিত মুখ ছিলেন।
জীবনসংগ্রাম ও অবসর
নব্বই দশকের শেষে ধীরে ধীরে চলচ্চিত্র জগৎ থেকে ছিটকে পড়েন বনশ্রী। আলো ঝলমলে জীবন একসময় নেমে আসে দুঃসময়। হারান বিত্ত-বৈভব, বসবাস করতে হয় বস্তিতেও। পরে নিজ এলাকায় ফিরে যান তিনি। জীবনের শেষ দিকে শিবচরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে ছেলে রোমিওকে নিয়ে বসবাস করছিলেন এ প্রাক্তন নায়িকা।
Leave a comment