ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনাটি বোয়িং নির্মিত ড্রিমলাইনার মডেলের উড়োজাহাজে ঘটায়, তাৎক্ষণিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে বোয়িংয়ের শেয়ারে বড় ধস নামে। প্রি-মার্কেট লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ বা সাড়ে ১৭ ডলার, যা নেমে দাঁড়ায় ১৯৬ দশমিক ৫২ ডলারে।
দুর্ঘটনায় ২৪২ জন যাত্রী বহনকারী প্লেনটি ব্রিটেনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি লোকালয়ে ভেঙে পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায়। গুজরাটের স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বিমানটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দরসংলগ্ন একটি বেসামরিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। তবে এখনো কোনো পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার নির্ভরযোগ্য কারণ প্রকাশ করা হয়নি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ফ্লাইটরাডার সূত্রে দুর্ঘটনাকবলিত উড়োজাহাজটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের বলে ধারণা করা হচ্ছে, যদিও রয়টার্স স্বাধীনভাবে তথ্যটি যাচাই করতে পারেনি। এদিকে বোয়িং তাদের পক্ষ থেকে এই দুর্ঘটনা নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য দেয়নি।
শুধু বোয়িং নয়, ভারতের অভ্যন্তরীণ উড়োজাহাজ শিল্পও এর নেতিবাচক প্রভাব অনুভব করছে। আজ বৃহস্পতিবার ভারতের শেয়ারবাজারে ইন্টারগ্লোব এভিয়েশন (ইন্ডিগো) ও স্পাইসজেটের শেয়ারে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ পর্যন্ত পতন হয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বোয়িংয়ের শেয়ারে এই বড় ধরনের দরপতন মূলত বাজারের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফিনটেক প্রতিষ্ঠান আইজি গ্রুপের বিশ্লেষক ক্রিস বিউচ্যাম্প জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বোয়িংয়ের নিরাপত্তা রেকর্ড নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল, এই দুর্ঘটনা সেটিকে আবারও সামনে এনেছে।
বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মহল বিস্ময়ের সঙ্গে বিষয়টির দিকে তাকিয়ে আছে। বোয়িংয়ের ভাবমূর্তি ও বাজারমূল্যে এই দুর্ঘটনা যে বড় ধাক্কা দেবে, তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বাজারের প্রতিক্রিয়ায়।
Leave a comment