ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরুতে এক বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করার ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার শনিবার এক বিবৃতিতে এ ঘটনার জন্য ভারত সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রতি দ্রুত কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “এ ঘটনা স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিয়েছে যে, ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত সরকার ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশি নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। একই সঙ্গে কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে ন্যায়বিচার আদায়ে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, ভারতে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ভারত সরকারের দায়িত্ব। বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা মানবতাবিরোধী এবং জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থী। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভারত সরকার এই নৃশংস ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করবে।
গত শুক্রবার ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরুর রামমূর্তিনগর এলাকার কালকেরে হ্রদের কাছে ২৮ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় পুলিশের ধারণা, ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
জামায়াতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, “ভারত সরকারের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানানো এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের সুরক্ষায় যথাযথ কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো সরকারের নৈতিক দায়িত্ব।”
এ ঘটনাটি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার জন্য উভয় দেশের সরকারের পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করার ঘটনা মানবিক মূল্যবোধের প্রতি এক বড় আঘাত। কূটনৈতিকভাবে এই ইস্যু সমাধানের জন্য উভয় দেশের সরকারকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
Leave a comment