ভারতে আবারও সংক্রমণ বাড়ছে করোনাভাইরাসের। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভারতজুড়ে শনিবার (৩১ মে) পর্যন্ত সক্রিয় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৯৫জনে । এর মধ্যে কেরালায় (১ হাজার ৩৩৬ জন) সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে, এরপর মহারাষ্ট্র ও নয়াদিল্লিতে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে দিল্লি, কেরালা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশে মৃত্যু হয়েছে মোট চারজনের । একই সময়ে এক হাজার ৪৩৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের , যার মধ্যে রয়েছেন দিল্লির ৬০ বছর বয়সী নারী। মহারাষ্ট্রে সংক্রমিত হয়েছে ৬৮ জন , যার মধ্যে রয়েছে মুম্বাইয়ের ৩০ জন, এবং পুনের ১৫ জন। সাম্প্রতিক সংক্রমণ ঢেউয়ে,
দিল্লিতে প্রথম মৃত্যু রেকর্ড হয়েছে। এদিকে, কর্নাটকে সরকার স্কুল খোলার আগেই সতর্কতামূলক নির্দেশ দিয়েছে । বেঙ্গালুরুতে ক্যান্সার ও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত ৬৩ বছর বয়সী ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে করোনায়। খবর লাইভমিন্টের।
বেশিরভাগ সংক্রমণ হালকা ধরনের এবং রোগীরা হোম আইসোলেশনে সুস্থ হয়ে উঠছে সাধারণ সতর্কতায় বলা হয়েছে বলে সাধারণ সতর্কতায় বলা হয়েছে । কর্ণাটক স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, পর্যাপ্ত পরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে । এদিকে স্বাস্থ্য দপ্তর , সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে করোনা পরিস্থিতি- সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬০ যা মধ্যে ৪৪৩ জনই রাজধানী ঢাকার ।
নেপালে চলতি বছরের শুরু থেকে মে মাস পর্যন্ত মাত্র ৭টি কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬টি কেস কাভ্রেপালাঞ্চক জেলায় এবং আক্রান্তের মাত্র একজনকে কাঠমান্ডুতে শনাক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সংক্রমণের হার এতটাই কম যে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নমুনাও পাওয়া যাচ্ছে না।
শ্রীলঙ্কায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার স্থিতিশীল রয়েছে । স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, নতুন কোনো উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়নি এবং উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়েনি সংক্রমণের হারও । তবে, বর্ষাকালের কারণে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, যা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
তবে পাকিস্তানে আবারও কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বেড়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলে পজিটিভিটি রেট ১৭ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছিল, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি । মে মাসের শুরুতে এই হার কিছুটা কমে ১৫ শতাংশ হয়েছে, তবে এটি এখনও উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। করাচিতে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি।
Leave a comment