ভারতীয় বন্য শুকরের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নীলফামারির সীমান্তবর্তী তিস্তাপাড়ের কৃষকরা । ফসল রক্ষায় সীমান্তে পাহারা দেওয়ার পরও শুকরের পাল ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না, কৃষকরা প্রশাসনিক সহায়তার জন্য আবেদন করছেন।
নীলফামারির ডিমলা উপজেলার ঝাড়সিংহেশ্বর এলাকায়, সীমান্তের ওপার থেকে শুকিয়ে যাওয়া তিস্তা নদী পার হয়ে ঢুকে পড়ছে ভারতীয় বন্য শুকরের পাল। শুকরের তাণ্ডবে কৃষকরা তাদের অমূল্য ফসল বাঁচাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
আলু, ভুট্টা এবং গমের শত শত একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, ভারতের মেখলিগঞ্জ থানার আওতাধীন ঝাড়সিংহের চরাঞ্চল থেকে প্রতি রাতে শুকরের পাল তাদের ফসলের মাঠে হামলা করছে।
কৃষকরা শত চেষ্টা সত্ত্বেও ফসল রক্ষা করতে পারছেন না। তারা বিভিন্ন উপায়ে শুকরগুলোকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছেন, যেমন: মাঠে পাহারা চৌকি বসানো। তবে, এই ব্যবস্থা যথেষ্ট ফলপ্রসূ হয়নি, বরং অনেক কৃষক প্রাণ রক্ষায় পালাতে বাধ্য হয়েছেন। শুকরগুলো বেশ হিংস্র হয়ে উঠে এবং দ্রুত বংশবৃদ্ধি করছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
কৃষকরা বেড়া নির্মাণ বা শুকর হত্যা করার জন্য প্রশাসনিক সহায়তা চাচ্ছেন। ” যদিও প্রশাসন এই বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ডিমলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, এটি রাষ্ট্রীয় কূটনৈতিক পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তার বিষয়, যার জন্য স্থানীয় প্রশাসন এককভাবে ব্যবস্থা নিতে পারে না। তিনি বলেন, “স্পর্শকাতর এলাকা হওয়ায়, এই পরিস্থিতিতে চিন্তাভাবনা করে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, যাতে বিপর্যয় না ঘটে।”
ভারতীয় বন্য শুকরের তাণ্ডব কৃষকদের জন্য এক বিশাল সমস্যা তৈরি করেছে, এবং এর সমাধানের জন্য দ্রুত প্রশাসনিক সহায়তার প্রয়োজন। তবে, সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায়, স্থানীয় প্রশাসন এবং রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয় সাধন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
Leave a comment