পুরান ঢাকার মিটফোর্ড ( স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) প্রকাশ্যে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও দুজনকে।
এখন পর্যন্ত নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। রোববার (১৩ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গত ৯ জুলাই মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী সোহাগকে হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হলো সাতজনকে । এজাহারনামীয় আসামি ১৯ জন। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সিসিটিভি ফুটেজ ও আটকদের তথ্যানুযায়ী ঘটনার মোটিভ জানার চেষ্টা করছি।
এর আগে তিনি বলেন, পুলিশের একটি দল ওই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকেই পুলিশ মূল অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান মহিনকে হেফাজতে নেয় এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারেক রহমান রবিনকেও গ্রেপ্তার করে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে যা পুলিশি তদন্তের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করছে বলেও তালেবুর রহমান জানান।
ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার জসীম উদ্দিন এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বলেন, এখন পর্যন্ত চাঁদাবাজির কোনো বিষয় আমাদের জানা নাই। আমরা শুধু জেনেছি, এটা পারস্পরিক দ্বন্দ্বের বিষয়। এই ব্যবসাটা (ভাঙারির ব্যবসা) কিছুদিন একসঙ্গে করেছে তারা। কিন্তু এক পর্যায়ে ব্যবসার লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্বের ফলশ্রুতিতে ঘটেছে এই হত্যাকান্ডটি।
Leave a comment