সকাল গড়িয়ে যাচ্ছে, কিন্তু ছেলে এখনো ঘুমিয়ে। তাই বাবা আবদুল মালেক (৬০) ছেলেকে ঘুম থেকে উঠে কাজে যাওয়ার জন্য তাড়া দেন। কিন্তু সেই সামান্য কথাতেই ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা—বাবাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় ছেলে মানিক হোসেন (২৮)।
শনিবার সকাল নয়টার দিকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পাইকরহাটি গ্রামে এ নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটে।
পুলিশ, প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আবদুল মালেক ছিলেন একজন স্বচ্ছল কৃষক ও বাঁশ ব্যবসায়ী। দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে মানিক হোসেন বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ ও ব্যবসায় সাহায্য করতেন। বছরখানেক আগে তাঁর বিয়ে হয়।
শুক্রবার রাতে বাবা ছেলেকে বলে রেখেছিলেন, সকালে উঠে কাজে যেতে হবে। কিন্তু সকাল ৯টা পার হয়ে গেলেও ঘুম থেকে না ওঠায় বাবা ডাকাডাকি শুরু করেন। এ নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মানিক ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরে থাকা কুড়াল দিয়ে বাবাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। ঘটনাস্থলেই মারা যান আবদুল মালেক।
চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ছুটে এসে মানিককে আটক করলেও কিছুক্ষণ পর সে পালিয়ে যায়।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা পুলিশ পাঠাই এবং আমিও ঘটনাস্থলে যাই। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সকালে ঘুম থেকে ওঠানোর সময় বাবা-ছেলের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়, আর তার জেরেই হত্যাকাণ্ড ঘটে। ছেলে এখন পলাতক, তবে তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর পুরো গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
Leave a comment