বাংলাদেশে প্রতি বছর ২ মার্চ পালিত হয় জাতীয় ভোটার দিবস। এই দিনটি দেশের গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী করার পাশাপাশি নাগরিকদের ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পালন করা হয়।
ভোটাধিকার হলো জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার। নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে ২০১৯ সাল থেকে জাতীয়ভাবে ভোটার দিবস পালন শুরু হয়। উদ্দেশ্য ছিল নতুন ভোটারদের নিবন্ধনে উৎসাহিত করা, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা বোঝানো এবং সাধারণ জনগণকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা।
দিবসটি পালনের গুরুত্ব
নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি: জনগণকে ভোটের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা।
নতুন ভোটার নিবন্ধন: ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া নাগরিকদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা।
গণতন্ত্রের বিকাশ: অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরা।
ভোটার দিবসে নির্বাচন কমিশন ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে। শোভাযাত্রা, সেমিনার, কর্মশালা ও প্রচার কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করা হয়।
গণতান্ত্রিক চেতনা ও নাগরিক অধিকার চর্চার অন্যতম হাতিয়ার হলো ভোটাধিকার। জাতীয় ভোটার দিবস সেই অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিকভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণ রাষ্ট্র পরিচালনায় সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে, যা গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করে।
Leave a comment