বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক ও সংস্কার অভিযাত্রায় জাতিসংঘ সর্বাত্মক সহায়তা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। রাজধানীর একটি হোটেলে শনিবার (১৫ মার্চ) আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। চার দিনের সফরের তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তিনি এই সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।
গুতেরেস বলেন, “বাংলাদেশ এই মুহূর্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও সমৃদ্ধির পথে দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ। এই সন্ধিক্ষণে আমরা শান্তি, সংলাপ ও ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে প্রস্তুত।”
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে পরিচালিত পরিবর্তনকে তিনি স্বাগত জানান এবং বলেন, “এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়সংগত ভবিষ্যৎ গঠনের প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করা।”
রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও কথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “প্রতি বছর আমি সংহতি সফর করি, মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে রোজা পালন করি এবং তাদের দুর্দশা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করি। এ বছর আমি রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আতিথ্যদানকারী বাংলাদেশের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশের জন্য এখানে এসেছি।”
গুতেরেসের এই সফরকে বাংলাদেশ-জাতিসংঘ সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও মানবাধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের ভূমিকা আরও শক্তিশালী হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
Leave a comment