বরগুনার আমতলী উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেত্রী। জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করা হলে গত মঙ্গলবার এটি থানায় নথিভুক্ত হয়।
তবে মামলাটি ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ দাবি করে এর প্রত্যাহারের দাবিতে বৃহস্পতিবার আমতলীতে মানববন্ধন করেছে উপজেলা ও পৌর ছাত্রদল। অভিযুক্ত ইমরান খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই ছাত্রী ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন।
মামলার বাদী জানান, তিনি আগে ছাত্রলীগে ছিলেন, তবে ১৫ জুলাই পদত্যাগ করে আন্দোলনে যোগ দেন। তিনি ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে নয়, ব্যক্তি ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কলেজে যাওয়া-আসার পথে ইমরান খান ভুক্তভোগীকে উত্ত্যক্ত করতেন এবং প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। রাজি না হওয়ায় তাঁর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এরপর ফেসবুকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। ১৫ মার্চ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলে ইমরান ক্ষিপ্ত হয়ে আবারও হুমকি দেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, গত রোববার রাতে মাছবাজার থেকে ফেরার পথে ইমরান খান পথরোধ করে তাঁকে শ্লীলতাহানি করেন এবং মোটরসাইকেলে তোলার চেষ্টা করেন। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ইমরান কিলঘুষি মেরে পালিয়ে যান।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ইমরান খান বলেন, ‘মামলার সময়কাল অনুযায়ী, আমি তখন ঢাকায় ছিলাম। এটি রাজনৈতিকভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা।’ তিনি দাবি করেন, তাঁর ফেসবুক আইডি হ্যাক করে ভুক্তভোগীর নামে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মামলাটি এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a comment