বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কাথম গ্রাম থেকে একটি জাতীয় দৈনিকের উপজেলা প্রতিনিধি ফিরোজ কামাল (ফারুক)–কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নন্দীগ্রাম থানা-পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ফিরোজ কামাল দৈনিক কালের কণ্ঠ ও দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকার নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। একইসঙ্গে তিনি নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক পদেও ছিলেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে পাঁচটি নাশকতা ও হত্যাকাণ্ড সংশ্লিষ্ট মামলা।
পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে বগুড়ায় সংঘটিত সংঘর্ষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষক সেলিম হোসেন নিহত হন। এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ফিরোজ কামাল ৭৬ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি। মামলার এজাহারে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ১০১ জনের নাম রয়েছে। নিহত সেলিম হোসেন কাহালু উপজেলার মুরইল লাইট হাউজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তাঁর বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার পীরব ইউনিয়নের পালিকান্দা গ্রামে।
পুলিশ আরও জানায়, ঘটনার পর ফিরোজ কামাল আত্মগোপনে চলে যান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন যে, ঘটনার পর তিনি ভারতে পালিয়ে যান এবং সেখান থেকে ফিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় আত্মগোপন করেন। সম্প্রতি পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে নন্দীগ্রামে ফিরে আসেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতেই অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম জানান, ফিরোজ কামালের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর ও নন্দীগ্রাম থানায় হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও নাশকতার পাঁচটি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বগুড়া আদালতের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, আজ দুপুরে ফিরোজ কামালকে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক সুমাইয়া সিদ্দিকা তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
Leave a comment