ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের চাড়ালদিয়া গ্রামে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি হলেন রেদোয়ান শেখ, যাঁর অর্ধগলিত মরদেহ গত রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে চাড়ালদিয়া বিল থেকে উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১৮ আগস্ট) ভাঙ্গা থানায় র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র্যাব-১০-এর অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
র্যাব জানায়, মৃতদেহ উদ্ধারের মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে তারা হত্যার অভিযোগে বন্ধু জহিরুল ইসলামকে আটক করে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিসহ অন্যান্য দেশি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। এছাড়া নিহতের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মানিব্যাগও খুঁজে পাওয়া গেছে।
র্যাব-১০-এর অধিনায়ক জানিয়েছেন, গত দুই বছর ধরে রেদোয়ান এবং জহিরুলের মধ্যে সমকামিতার সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন (১৩ আগস্ট) রেদোয়ান মোটরসাইকেল যোগে জহিরুলের বাড়িতে পৌঁছান। সেখানে সমকামিতা সংক্রান্ত বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে জহিরুল একটি ছুরি দিয়ে রেদোয়ানের গলায় আঘাত করলে তিনি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান।
মৃত্যুর পর জহিরুল মরদেহটি বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেন। দু’দিন পর মরদেহ ভেসে উঠলে তিনি পেট কেটে বালুর বস্তায় বেঁধে পার্শ্ববর্তী বিলের মধ্যে ফেলে দেন। পরে এলাকাবাসী দুর্গন্ধ অনুভব করে পুলিশকে খবর দেন।
ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, রেদোয়ান শেখ সদরপুর উপজেলার বাইশরশি গ্রামের সৌদি প্রবাসী শেখ আবুবক্করের ছেলে। তিনি গাজীপুরের একটি বেসরকারি কলেজে বি.এস.সি. শিক্ষার্থী ছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর মা রাবেয়া বেগম সদরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। রেদোয়ানের মা রাবেয়া বেগম রবিবার (১৭ আগস্ট) রাতেই ভাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
Leave a comment