দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের ১১তম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে পূর্ব তিমুর। এটি দেশটির জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে দেশটির প্রেসিডেন্ট যে আঞ্চলিক সংযুক্তি ও অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার বাস্তবায়ন।
রোববার (২৬ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত আসিয়ানের ৪৭তম শীর্ষ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ব তিমুরকে সদস্য করার নথিতে স্বাক্ষর করেন জোটভুক্ত দেশের নেতারা। এর মাধ্যমে ২০১১ সালে সদস্যপদের জন্য আবেদন করা এবং ২০২২ সালে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র মর্যাদা পাওয়ার ১৪ বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্যপদ নিশ্চিত হলো।
সম্মেলনে পূর্ব তিমুরের পতাকা উত্তোলনের মুহূর্তে করতালির মাধ্যমে উল্লাস প্রকাশ করা হয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী গুসমাও এই অর্জনকে নতুন সূচনার প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে, আসিয়ানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ফলে দেশটি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অসীম সুযোগ পাবে।
পূর্ব তিমুর (তিমুর-লেস্তে) প্রায় ১৪ লাখ জনসংখ্যার দেশ, এবং এটি এশিয়ার অন্যতম দরিদ্র দেশ। দেশের ক্ষুদ্র অর্থনীতি প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার, যা আসিয়ানের মোট ৩.৮ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন সুযোগের দিকে এগোবে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও আসিয়ানের চেয়ার আনোয়ার ইব্রাহিম, স্বাগত ভাষণে তিনি সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তি ও স্থায়িত্ব’-এর ওপর জোর দেন। সম্মেলনে আসিয়ানের সদস্য দেশগুলোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ প্রায় ৩০টি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান অংশগ্রহণ করেছেন।
Leave a comment