বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে আগে পৃথক পোশাক ব্যবহারের প্রচলন থাকলেও এটি শিগগিরই পরিবর্তিত হতে যাচ্ছে। এখন থেকে পুলিশ বাহিনীর সব ইউনিট একই ধরনের পোশাক পরবে। এর ফলে ইউনিটভিত্তিক আলাদা পোশাক ব্যবহারের প্রচলন বিলুপ্ত হবে।
আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি), বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এই তথ্য জানান।
ডিএমপি কমিশনার জানান, বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর পোশাকে একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল (২০ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাবের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার চূড়ান্ত অনুমোদনের পর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে বর্তমানে দুই লাখ সদস্য এবং ১৯ হাজার সিভিল স্টাফ রয়েছেন। পূর্বে বিভিন্ন ইউনিটে পোশাকের ভিন্নতা ছিল। তবে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সব ইউনিট একই ধরনের পোশাক পরবে।”
এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করা এবং পরিচিতির সহজীকরণ। ডিএমপি কমিশনারের মতে, এটি পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ঐক্য এবং পেশাগত মানসিকতার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
মতবিনিময় সভায় ক্র্যাবের নবনির্বাচিত সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, সহ-সভাপতি উমর ফারুক আল হাদী, সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ এবং অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন পোশাক ব্যবহারের পাশাপাশি র্যাব ও আনসার বাহিনীর জন্যও একই নীতিমালা অনুসরণ করা হবে। এটি কেবল বাহিনীগুলোর কার্যকারিতা বাড়াবে না, বরং জনগণের কাছে তাদের উপস্থিতিকে আরও সুসংবদ্ধ ও পরিচিত করে তুলবে।
এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পুলিশের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে আধুনিকতা যোগ করার পাশাপাশি বাহিনীর অভ্যন্তরীণ সংহতিকে আরও মজবুত করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Leave a comment