রাজধানীর পল্লবীতে এক নারী সাংবাদিককে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার এনামুল হক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার (১৯ মার্চ) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তিনি এ স্বীকারোক্তি দেন।
একই মামলায় গ্রেপ্তার আরেক আসামি হামিদুর রহমানকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আবেদন করেছে পুলিশ। আদালত আগামী ২৩ মার্চ রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন। শুনানি না হওয়া পর্যন্ত হামিদুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, মাটিকাটা এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করা হচ্ছে—এমন তথ্য পেয়ে এক নারী সাংবাদিক রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাত ১১টার দিকে সেখানে যান।
সেখানে পৌঁছানোর পর কয়েকজন যুবক তাঁকে জোরপূর্বক বারনটেকের গ্রিন সিটি এলাকার একটি ১২তলা নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় তলায় নিয়ে যান। সেখানে ১৬ জন ব্যক্তি তাঁকে ঘেরাও করে এবং একপর্যায়ে তাঁকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
ভিকটিমের অভিযোগ অনুযায়ী, এই ঘটনা রাত ১টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলে। পরে কৌশলে পালিয়ে এসে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী নারী আটজনের নাম উল্লেখ করে গতকাল পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুপুরে পল্লবী এলাকা থেকে প্রধান অভিযুক্ত এনামুল হক ও তার সহযোগী হামিদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন। ইতোমধ্যে তাঁর ফরেনসিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মামলাটির তদন্ত দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a comment