পদ্মা সেতু প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সরকারি খাসজমি, অর্পিত সম্পত্তি ও ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে তৎকালীন মাদারীপুর ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা এবং বর্তমানে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ঢাকার সহকারী পরিচালক প্রমথ রঞ্জন ঘটককে। এছাড়া, মো. রাসেল আহম্মেদ ও মো. নাসির উদ্দিন নামের দুই সার্ভেয়ারসহ আরও ২০ জনকে আসামির তালিকায় রাখা হয়েছে।
দুদকের তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পসহ পাঁচটি ভূমি অধিগ্রহণ মামলার (এলএ কেস) আওতায় থাকা সরকারি খাসজমি, ভিপি সম্পত্তি ও অন্যান্য ব্যক্তির মালিকানাধীন সম্পত্তির কাগজপত্র জাল করে ক্ষতিপূরণের নামে ২৩টি চেকের মাধ্যমে প্রায় আত্মসাৎ করা হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ মিলেছে যে, তৎকালীন ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা ঘটক সরাসরি এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
এ বিষয়ে দুদকের মাদারীপুর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আতিকুর রহমান জানান, ২০২২ সালে এই দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা পাওয়া যায়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহের পর মামলার অনুমোদন মেলে। বুধবার (৫ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান শিগগিরই শুরু হবে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে দুদক। দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রকল্পের অর্থ লুটপাটে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
Leave a comment