নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় বাবার মোটরসাইকেলে চড়ে কলেজে যাওয়ার সময় চাকায় বোরকা পেঁচিয়ে নিহত হয়েছেন ইশরাত জাহান নামে এক কলেজছাত্রী।
উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নে রোববার (২১ জুন) দুপুরে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন নিহত শান্তা । তিনি জাহাজমারা ইউনিয়নের নতুন সুখচর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মো. আরিফের মেয়ে।
জানা গেছে, সকালে জাহাজমারার নিজবাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে বাবা-মেয়ে কলেজের উদ্দেশে রওয়ানা দেন। মোটরসাইকেলটি সোনাদিয়া এলাকার হিল্টন রোড পৌঁছালে শান্তার বোরকার নিচের অংশ পেছনের চাকার সঙ্গে পেঁচিয়ে যায়। গলায় ঝুলানো থাকা বোরকার অংশটি টান পড়লে মাটিতে ছিটকে পড়ে শান্তা।
এ সময় চলন্ত মোটরসাইকেলের গতি অনেক দূর পর্যন্ত নিয়ে যায় তাকে। পরে আহত বাবা ও মেয়েকে উদ্ধার করে পথচারীরা হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। তবে শান্তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় ঢাকায় । এরপর ঢাকা নেয়ার জন্য নদীর ওপারে পৌঁছালে মৃত্যু হয় শান্তার।
শান্তার চাচা মো. আশ্রাফ জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা নেয়ার জন্য নদীর ওপারে পৌঁছালে শান্তার মৃত্যু হয়। পরে শান্তার মরদেহ তারা বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ দিকে শান্তার মৃত্যুতে তার বাবা অনেকটা হতবিহ্বল। তিনি সবার সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ করছেন।
হাতিয়া থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি শান্তার পরিবারের পক্ষ থেকে। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
Leave a comment