নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের পর পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আজ শনিবার শহরের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক দেখা গেছে। কারফিউ শিথিল করা হয়েছে, সড়কে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি কমে এসেছে এবং দোকানপাট খুলেছে। মানুষ মন্দিরে গেলে দেখা গেছে।
গত শুক্রবার সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টা পর প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওদেল পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। পার্লামেন্ট পুনর্বহালের দাবিতে দেশটির আটটি রাজনৈতিক দল যৌথ বিবৃতিতে পদক্ষেপটি অসাংবিধানিক উল্লেখ করেছে।
সুশীলা কারকি নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। ৭৩ বছর বয়সী তিনি নেপালের প্রথম নারী বিচারপতিও ছিলেন। শপথ গ্রহণের পর তিনি আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান। দেশের মানুষ তার এই দায়িত্ব গ্রহণকে পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি হিসেবে দেখছে। সমাজকর্মী সুরাজ ভট্টরাই বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে এগিয়ে নেবেন এবং সুশাসন নিশ্চিত করবেন।
বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ফলে অন্তত ৫১ জন নিহত ও প্রায় দেড় হাজার মানুষ আহত হয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপগুলো সরকার বন্ধ করেছিল। শপথ গ্রহণের পর আজকের শান্ত পরিস্থিতি নতুন সরকারের প্রতি জনগণের আশা ও আস্থার প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
Leave a comment