‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ, ছাড়া জুলাই সনদের কোনো আইনি ভিত্তি নেই’— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী। বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন,“যারা ‘জুলাই সনদ’-এর আইনি ভিত্তি দাবি করছেন, তারা সংসদের বৈধ প্রক্রিয়ায় না গিয়ে ভিন্ন পথে বিষয়টি এগিয়ে নিচ্ছেন। নির্বাচিত সংসদ ছাড়া কোনো ঘোষণাই সাংবিধানিকভাবে টিকে থাকতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে সরকারের ব্যাখ্যা এবং প্রশাসনিক প্রয়াস গণতন্ত্রের মূল চেতনাকে উপেক্ষা করছে। তার মতে, একটি অনির্বাচিত সরকার বা প্রশাসনিক নির্দেশের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় নীতিমালা পরিবর্তন করা সংবিধানের পরিপন্থী। আলোচনা সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেন রিজভী। তিনি বলেন,“সরকারের ভেতরেই ভূত রয়েছে। তারা প্রকৃত শত্রুপক্ষকে চিহ্নিত না করে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু ব্যক্তি রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট মনোভাব থেকে কাজ করছেন, যা গণতন্ত্র ও জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। রিজভী বলেন,“আগাম গণভোটের প্রস্তাব কোনো গণতান্ত্রিক উদ্যোগ নয়; এটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার একটি ষড়যন্ত্র।”
তিনি দাবি করেন, বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অটল থাকবে। তিনি বলেন, “গণভোট বা কাগুজে সনদ দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার বন্ধ করা যাবে না। সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষিত ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সনদটি নিয়ে সরকার বলছে, এটি প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক সংস্কারের অংশ; তবে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দল দাবি করছে, সনদটির কোনো সাংবিধানিক বা সংসদীয় বৈধতা নেই।
Leave a comment