নোয়াখালী সদর উপজেলার দক্ষিণ হুগলি গ্রামে নিখোঁজের দুই দিন পর এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্তের ভিত্তিতে একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে মো. রায়হান (১৬) নামে দশম শ্রেণির এই ছাত্রের মৃতদেহ পাওয়া যায়। নিহত রায়হান স্থানীয় খলিফারহাট উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র এবং দক্ষিণ হুগলি গ্রামের মো. আলমগীরের ছেলে।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রায়হান তারাবিহর নামাজ আদায় করতে মসজিদে গিয়েছিল, এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান না পেয়ে পরিবার থানায় বিষয়টি জানায়, যদিও তখন কোনো সাধারণ ডায়েরি বা মামলা করা হয়নি। পরদিন বুধবার একটি অজানা নম্বর থেকে রায়হানের পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বিষয়টি জানার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং গোপন সূত্রের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে রায়হানের একই বাড়ির বাসিন্দা মো. মারুফকে (২২) আটক করে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের পর মারুফ স্বীকার করে যে রায়হানকে হত্যা করা হয়েছে এবং তার লাশ একটি বাড়ির পেছনের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়েছে। এরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, রায়হানের কপালের ডান পাশে এবং ডান চোখের ওপর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুদন দাশ জানান, রায়হানকে হত্যা করে লাশ গোপন রাখার পরই মুক্তিপণ দাবি করা হয়। যে সিম কার্ড ব্যবহার করে টাকা চাওয়া হয়েছিল, সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো হত্যার মূল উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম জানান, আটক মারুফ সম্পর্কে রায়হানের চাচা হন। তবে হত্যার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত ছিল কি না, সেটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনো নিহতের পরিবার কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে
Leave a comment