নড়াইল সদর উপজেলার গোয়ালবাথান গ্রামে সাপের কামড়ে টিপু মুন্সী (৫০) নামে এক ইজিবাইক চালকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে হাসপাতালে নেয়ার পথে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাতের খাবার শেষে প্রতিদিনের মতো ঘুমিয়ে পড়েন টিপু মুন্সী। রাত ২টার দিকে প্রকৃতির ডাকে বাইরে গেলে হঠাৎ এক বিষধর সাপ তাকে দংশন করে। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে পার্শ্ববর্তী বাধাল গ্রামের এক ওঝার (কবিরাজ) কাছে নিয়ে যান। সেখানে ঝাঁড়ফুকের মাধ্যমে বিষ নামানোর চেষ্টা করা হলেও ব্যর্থ হন ওঝা। পরে পরিবারের সদস্যরা টিপুকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আসিফ আকবর জানান, টিপু মুন্সীকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, সাপের দংশনের পর দ্রুত চিকিৎসা না পেলে রোগীর জীবন বাঁচানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
চন্ডিবরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোস্তফা কামাল বলেন, “টিপু মুন্সী দীর্ঘদিন ধরে নাকসী-চালিতাতলা সড়কে ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার হঠাৎ মৃত্যুতে পরিবার ও পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।”টিপু মুন্সী স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, সাপের দংশনের পর কোনো ধরনের ঝাঁড়ফুক বা বিলম্ব না করে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জরুরি। দেশে এখন প্রায় প্রতিটি জেলা হাসপাতালে অ্যান্টি-ভেনম রাখা রয়েছে। সময়মতো এ চিকিৎসা পেলে সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
স্থানীয় সমাজকর্মীরা জানিয়েছেন, এখনো অনেক মানুষ সাপের দংশনকে কুসংস্কারের সঙ্গে যুক্ত করে চিকিৎসার পরিবর্তে ঝাঁড়ফুকের ওপর নির্ভর করেন। তারা মনে করেন, এ বিষয়ে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।
Leave a comment