১৪ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের বেশিরভাগ এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে বিডব্লিউওটি। উপকূল ও পাহাড়ি অঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে।
বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে চলতি বছরের ১২তম শক্তিশালী বৃষ্টিবলয়। এর প্রভাবে দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টিবলয়টি একসঙ্গে সক্রিয় না হয়ে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রভাব ফেলবে। ১৪ সেপ্টেম্বর প্রবেশ করলেও ১৫ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি থাকবে। মূলত দুপুর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত অধিকাংশ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যেসব বিভাগ-
রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিভাগে প্রবল বর্ষণ হবে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোও থাকবে ঝুঁকির মধ্যে। এসব এলাকায় দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা এবং বরিশাল বিভাগে (উপকূল বাদে) মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি হতে পারে।
সম্ভাব্য প্রভাব ও ঝুঁকি-
ক) নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি
ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের নিচু এলাকায় জোয়ারের সঙ্গে মিলিত হয়ে বন্যার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
খ) পাহাড় ধসের আশঙ্কা
চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি জেলা—বান্দরবান, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পাহাড়ধসের ঝুঁকি প্রবল। বিশেষজ্ঞরা এসব এলাকায় ভ্রমণ বা অবস্থান থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
গ) বজ্রপাত ও ঝড়ো হাওয়া
বৃষ্টিবলয়ের শুরুতে বজ্রপাত বেশি হতে পারে। যদিও পরে তা কিছুটা কমে আসবে। বড় ধরনের ঝড়ের আশঙ্কা নেই, তবে উত্তরাঞ্চল ও উপকূলে দমকা হাওয়া থাকতে পারে।
ঘ) আবহাওয়ার অস্বস্তি
বৃষ্টির সময় আবহাওয়া শীতল ও আরামদায়ক হলেও বিরতির মধ্যে কিছু এলাকায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হতে পারে।
বিভাগভিত্তিক সম্ভাব্য বৃষ্টিপাত (৬ দিনে)
• রংপুর: ১৮০–২৫০ মিমি (গড় ৪ দিন)
• ময়মনসিংহ: ১৪০–২৬০ মিমি (গড় ৪ দিন)
• সিলেট: ১৬০–২৬০ মিমি (গড় ৪ দিন)
• চট্টগ্রাম: ৯০–২৫০ মিমি (গড় ৩ দিন)
• ঢাকা: ১২০–১৮০ মিমি (গড় ৪ দিন)
• খুলনা: ১২০–১৫০ মিমি (গড় ৪ দিন)
• বরিশাল: ১৩০–২০০ মিমি (গড় ৩ দিন)
• রাজশাহী: ১১০–১৫০ মিমি (গড় ৩ দিন)
সতর্কবার্তা
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের উপকূল ও পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারীদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে সম্ভাব্য বন্যা ও ভূমিধস মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
Leave a comment