অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে নোবেলকে আদালতে হাজির করা হয়। ৩টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতে উপস্থিত হন। ৩টা সাত মিনিটে বিচারক এজলাসে এসে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন।
এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক মুরাদ হোসেন নোবেলকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
শুনানিতে নোবেলের আইনজীবী বলেন, নোবেল ও মামলার বাদী ঘটনার সময় স্বামী স্ত্রী ছিল। মামলার বাদী নোবেলের স্ত্রী। সে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা । তবে আদালতে বিয়ের কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি নোবেলের আইনজীবী।
এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদের আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে নোবেলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা থেকে পুলিশ নোবেলকে গ্রেপ্তার করে।
ডেমরা থানা পুলিশ জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২০১৮ সালে নোবেলের সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয় এবং নোবেলের সাথে ভিকটিমের মাঝে মধ্যে মুঠোফোনে যোগাযোগ হতো। গত বছরের ১২ নভেম্বর নোবেল ভুক্তভোগীর সাথে মোহাম্মদপুর গিয়ে দেখা করেন। এসময় ডেমরার বাসার স্টুডিও দেখানোর কথা বলে নিয়ে এসে ২-৩ সহযোগীর সহায়তায় ভুক্তভোগীকে বাসায় আটক করে রাখেন ।
এসময় নোবেল ভিকটিমের মোবাইল ভেঙে ফেলেন। পরে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মারধর ও ধর্ষণ করেন। একই সঙ্গে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে সোমবার (১৯ মে) পর্যন্ত ভুক্তভোগীকে বাসায় আটকে রাখেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোবেল কর্তৃক ভুক্তভোগীকে মারধরের একটি ভাইরাল হয়।
এই ভিডিও দেখে ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে চিনতে পেরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে। খবর পেয়ে ডেমরা থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডেমরা থানায় একটি নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Leave a comment