দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) , পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাবেক প্রধান ও অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ আলী মিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে। অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সাজিদ উর রোমানকে।
এর আগে গত ১৩ মার্চ সিআইডির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া ও তাঁর দুর্নীতিতে সহায়তাকারী পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়। মোহাম্মদ আলী মিয়া ছাড়া বাকি পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন সিআইডির প্রশাসন শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মিনহাজুল ইসলাম, বিশেষ পুলিশ সুপার (ঢাকা মহানগর পশ্চিম) এ কে এম ইমরান ভূঁইয়া, সাইবার ক্রাইমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা, পরিদর্শক মানব শাহাজাদা ও পরিদর্শক মনিরুজ্জামান।
দুদক সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ আলী মিয়া সিআইডিতে ছয় সদস্যের একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন, যা মামলা রুজু, অভিযান, তদন্ত ও নিষ্পত্তি পর্যন্ত বিভিন্ন কার্যক্রমে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার সঙ্গে জড়িত ছিল। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে রাজধানীর আফতাবনগর সংলগ্ন আনন্দনগরে ১২.৩৭ শতক জমি, মিরপুর বাউনিয়া মৌজায় ৮.২২ শতক জমি, পূর্বাচলে ৫ কাঠা ও কেরানীগঞ্জে ৫ কাঠার প্লটসহ বিভিন্ন স্থানে সম্পত্তি অর্জন এবং মালয়েশিয়া ও লন্ডনে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
মোহাম্মদ আলী মিয়া ১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর ১৫তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। ২০২২ সালের আগস্টে তিনি সিআইডি প্রধান নিযুক্ত হন। গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ১৩ আগস্ট তাকে সিআইডি থেকে সরিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয় এবং ২২ আগস্ট বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
Leave a comment