ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের পাশে যাত্রীবাহী একটি হুন্দাই আই২০ গাড়িতে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও ২৪ জন।
ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে আশপাশের এলাকায় ছিন্নভিন্ন মরদেহ ও আগুনে জ্বলে যাওয়া গাড়ি পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিস্ফোরণের ফলে ২২টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দিল্লি পুলিশের কমিশনার সতীশ গোলচা বলেন,“লাল কেল্লা ট্রাফিক সিগন্যালের কাছে ধীরে চলা একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। গাড়িটিতে যাত্রী ছিল। বিস্ফোরণের পর আশপাশের গাড়িগুলোতেও আগুন ধরে যায়।”
বিস্ফোরণের পরই ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (NSG) তদন্ত শুরু করেছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে মুম্বাই, জয়পুর, উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দিল্লির উপপ্রধান অগ্নিনির্বাপক কর্মকর্তা একে মালিক জানিয়েছেন,“দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় সন্ধ্যা ।”
ঘটনাস্থলের ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে মরদেহ ও গাড়ির ধ্বংসাবশেষ। এক প্রত্যক্ষদর্শী এনডিটিভিকে বলেন,“আমি মানুষের দেহের অংশ আকাশে উড়ে রাস্তায় পড়তে দেখেছি। বিস্ফোরণের শব্দে কান কয়েক মিনিট ধরে ব্যথা করছিল।”
আরেকজন বলেন, বিস্ফোরণের সময় আশপাশের ভবনের দেয়াল ও জানালাগুলো কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণের পর লাল কেল্লা ও আশপাশের এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিষয়টি অবহিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন,“সরকারের উচিত দ্রুত তদন্ত শুরু করে জনগণকে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানানো। নিরাপত্তা নিয়ে কোনো অবহেলা গ্রহণযোগ্য নয়।”
একই দিনে দিল্লি থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার ফরিদাবাদে প্রায় ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
Leave a comment