যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল গত মঙ্গলবার থেকে ফের গাজায় ভয়াবহ হামলা শুরু করেছে। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫০৬ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী, এর মধ্যে ২০০ শিশু রয়েছে। গত তিন দিনে গাজা উপত্যকায় আহত হয়েছেন আরও ৯০৯ জন।
এছাড়া, আজ ভোর থেকে কমপক্ষে ১১০ জন নিহত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তর গাজা থেকে ফের সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৪৯,৬১৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ১,১২,৯৫০ জন আহত হয়েছেন। তবে, গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৬১,৭০০ জনেরও বেশি হতে পারে, কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি এখনও নিখোঁজ। ধারণা করা হচ্ছে, তারাও মারা গেছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে কমপক্ষে ১,১৩৯ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি বন্দি হয়েছিল।
এদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আবারও গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছে। তেলআবিব বলছে, এটি ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘শেষ সতর্কবার্তা’, যাতে তারা জিম্মিদের ফেরত দেয় এবং হামাসকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়।
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ ও সংগঠন গাজায় যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার আহ্বান জানালেও, ইসরায়েল তা উপেক্ষা করেই হামলা চালাচ্ছে। ফলে, ফিলিস্তিনিরা আবারও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তাদের প্রিয়জনের মরদেহ খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
ইসরায়েল যেসব এলাকা ‘যুদ্ধ এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেখান থেকে সাধারণ মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে। উত্তর গাজা থেকে পালানো অনেক পরিবারকে শিশুসহ রাস্তায় আশ্রয় নিতে দেখা গেছে।
গাজার বাসিন্দাদের উদ্দেশে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক ভিডিও বার্তায় বলেন, এটি তাদের ‘শেষ সতর্কবার্তা’।
Leave a comment