দক্ষিণ চীন সাগরে উদ্ভূত সুপার টাইফুন রাগাসা, তাইওয়ানে আছড়ে পড়ে কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু এবং অন্তত ৩০ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরও ১৪ জন আহত হয়েছেন।
তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা হুয়ালিয়েনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা লি কুয়ান-তিন জানান, রাগাসা সরাসরি এই জেলাতেই আঘাত হনেছে এবং সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি দেখা দিয়েছে। তিনি এএফপিকে বলেন, “ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী বাহিনী নিখোঁজদের সন্ধান এবং আহতদের উদ্ধারে তৎপর রয়েছে।”
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাগাসার কারণে তাইওয়ান, হংকং, এবং দক্ষিণ চীন সাগরের তীরবর্তী অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণ হয়েছে। হংকংয়ে সোমবার থেকেই ১০ নম্বর সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় ফিলিপাইনের উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় রাগাসার বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৩৫ কিলোমিটার।
দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর দিয়ে রাগাসা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক অঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়েছে। হংকংয়ে একজন মা এবং তার ৫ বছরের ছেলে সাগরের জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, মঙ্গলবার হংকং উপকূলে ঢেউয়ের সর্বোচ্চ উচ্চতা ছিল ১৩ ফুট।
ফিলিপাইন, তাইওয়ান, হংকং এবং চীনের গুয়াংডং প্রদেশসহ এই অঞ্চলে রোববার থেকে ঝড় ও বর্ষণের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে জোর দিয়েছে, কিন্তু পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
Leave a comment