আজ স্টেশনেও ছিলো না তেমন ভিড় ট্রেনে উঠতে চিরচারিত সেই হুড়োহুড়ি, ঠেলাঠেলিও নেই। পাশাপাশি ছাদে চড়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণের চিত্রও চোখে পড়েনি । রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সারাদেশে নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেছে ট্রেন।
রোববার (৩০ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।
এদিন ঢাকা থেকে সারাদেশে গন্তব্যের উদ্দেশে ১৪টি ট্রেন ছেড়ে গেলেও সেগুলোর কোনোটাতেই নেই শিডিউল বিপর্যয়।
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরা বলেন, ঈদে সবসময় ট্রেনেই যাতায়াত করা হয়। আগে কখনো কমলাপুর স্টেশনে এত সুশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখিনি। পৌনে ৯টায় স্টেশনে এসেছি। এসেই প্ল্যাটফর্মে ট্রেন দাঁড়ানো পেয়েছি। ব্যাগ-পত্র নিয়ে উঠে বসলাম। এখন দেখছি ট্রেন ছেড়ে দিচ্ছে। একেবারে জাস্ট টাইম।
রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, ঈদযাত্রার সপ্তম দিনে রোববার সকাল থেকে নির্ধারিত সময়ে সব ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। আন্তঃনগর ট্রেনে কোনো শিডিউল বিপর্যয় নেই। এমনকি কমিউটার ও লোকাল ট্রেনগুলোও যথাসময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। শুধু কর্ণফুলী কমিউটার ট্রেনটি ১১ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে আজ।
শাহাদাত হোসেন বলেন ( কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার ) গত কয়েকদিনের মতো আজও স্বস্তিতে যাত্রা করছে ঘরমুখো যাত্রীরা। সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে সারাদেশে গন্তব্যের উদ্দেশে ১৪টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। সেগুলোর কোনোটাতেই শিডিউল বিপর্যয় ছিলো না।
সকাল সাড়ে ৯টায় দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল, পৌনে ১০টায় তিতাস কমিউটার, ১০টায় জামালপুর এক্সপ্রেস, সোয়া ১০টায় একতা এক্সপ্রেস এবং সাড়ে ১০টায় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে গেছে ,স্টেশন মাস্টারের দেওয়া তথ্যমতে ।
সকাল থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো হলো- ধূমকেতু, পর্যটক, পারাবত, নীলসাগর, সোনার বাংলা, তিস্তা, মহানগর প্রভাতী, মিঠাপুকুর প্রভাতী, সুন্দরবন, মহুয়া, বুড়িমারী, কর্ণফুলী, রংপুর এক্সপ্রেস ও তিতাস কমিউটার।
উল্লেখ্য, আজ সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কমলাপুর থেকে মোট ৫১টি ট্রেন সারাদেশে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
Leave a comment