ঢাকার মধুবাগে বাসা থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

ঢাকার মধুবাগ এলাকার একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে আকবর হোসেন ওরফে অপু (৫০) নামের এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যেতে পারেন। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মরদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পূর্ণ চিসিম জানান, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে খবর পেয়ে তারা মধুবাগের একটি বহুতল ভবনের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটে গিয়ে খাটের ওপর থেকে আকবর হোসেনের নিথর দেহ উদ্ধার করেন। তিনি বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবার সকালে মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আকবর হোসেনের শরীরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের চিহ্ন রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, সেটি নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে শুক্রবার আকবর হোসেনের ভগ্নিপতি আবদুর রহমান জানান, আকবর হোসেন স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী কন্যাসন্তানকে নিয়ে আলাদা থাকতেন না। তাঁর স্ত্রী মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার ফুলগাছি গ্রামে তিন বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন। আকবর রাজধানীতে বসবাস করতেন তারই বোনের সঙ্গে, একই ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে। তিনি ভগ্নিপতির মালিকানাধীন একটি ওষুধের দোকানে কাজ করতেন।

আবদুর রহমান বলেন, “গতকাল রাতে খাবার শেষে আকবর তার কক্ষে ঘুমাতে যান এবং ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। গভীর রাতে তার বোন ডেকে সাড়া না পেয়ে উদ্বিগ্ন হন। পরে বিকল্প চাবি দিয়ে দরজা খোলা হলে দেখা যায়, আকবর খাটের ওপর পড়ে আছেন, কিন্তু কোনো সাড়া নেই। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে জানানো হয়।”

পরে হাতিরঝিল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করে। মৃত্যুর সময় বা শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল কি না, সে বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত কোনো বক্তব্য দেয়নি।

ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় স্বাভাবিকভাবে শোকের আবহ বিরাজ করছে। আকবর হোসেনের পরিবার এবং পরিচিতজনরা তাঁর হঠাৎ মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।