ঢাকার মগবাজারের পূর্ব নয়াটোলা এলাকায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার সকালে ঘরের দরজা ভেঙে এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম রাগিব নূর, বয়স ১৮ বছর। তিনি বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ঘটনাটি হাতিরঝিল থানার আওতাধীন পূর্ব নয়াটোলা এলাকায় ঘটে। আজ সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে রাগিবের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে খবর পান এবং দ্রুত পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে। তারপর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাজু বলেন, “এটি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা এবং আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। আমরা নিশ্চিত যে রাগিব তার পরিবারসহ পূর্ব নয়াটোলা এলাকায় বসবাস করছিলেন।” তিনি আরও জানান, ঘটনাটি যথাযথভাবে তদন্ত করার জন্য পুলিশের একটি বিশেষ দল কাজ করছে এবং বিস্তারিত তথ্য বের করার চেষ্টা চলছে।
রাগিবের মামা মো. সেলিম জানান, “আমার ভাগনের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। গত রাতে সে লেখাপড়া করছিল, কিন্তু সকালে তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। আমরা দরজা খুলতে গিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। তখন দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।” তিনি এ সময় শোকাহত কণ্ঠে বলেন, “আমাদের পরিবার একেবারে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে, রাগিব ছিল অত্যন্ত মেধাবী এবং পরিশ্রমী ছাত্র।”
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাগিবের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত কিছু বলা হয়নি। যদিও তার পরিবারের সদস্যরা কোনো ধরনের সন্দেহজনক ঘটনার কথা জানাচ্ছেন না, তারপরও পুলিশ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। রাগিবের আত্মহত্যা কি না, কিংবা কোনো ঘটনার ফলে তার মৃত্যু হয়েছে, সে সম্পর্কে তদন্তে আরও সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, রাগিবের সহপাঠী ও শিক্ষকেরা তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, রাগিব খুবই মেধাবী এবং সহপাঠীদের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। তার এমন অকাল মৃত্যুর খবরটি সকলকে হতবাক ও শোকাহত করেছে।
বিস্তারিত তদন্তের পর পুলিশ আরও তথ্য জানাবে বলে জানিয়েছেন ওসি মোহাম্মদ রাজু। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা কোনো ধরনের ধারণা দিতে রাজি হননি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
Leave a comment