প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মন্তব্য করে বলেছেন , আজ মানুষ বলাবলি করছে যে ড. ইউনূসের যত সুবিধা নেওয়া দরকার তা-ই নেবেন। । সেজন্য তিনি দেহত্যাগ করলেও পদত্যাগ করবেন না।
গতকাল রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে দেশ বাঁচাও বন্দর বাঁচাও আন্দোলন , এ সভার আয়োজন করে ।
সভায় গয়েশ্বর রায় বলেন, বন্দর চালানোর জন্য দেশে লোক না থাকলে বিদেশ থেকে আমরা এক্সপার্ট আনতে পারি। তবে মূল কথা হলো, ১৬-১৭টি বছর বিরামহীনভাবে দুর্নীতি চলছে। হাসিনা সরকারের ফ্যাসিজমের চেয়েও বেশি খারাপ হলো দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং। তিনি বলেন, দেশে তো দুর্নীতি কমেনি; বরং বেড়েছে। কারণ হাসিনার আমলের ওই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এখনো রয়ে গেছে। এই সরকার তো দুর্নীতি রোধে হাত দেয়নি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, আমাদের দমাবে এই সাধ্য কার। আমরা রাস্তায় নামলে ইউনূস সরকার ২৪ ঘণ্টাও টিকবে না। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে দেশ ও বন্দর বাঁচানো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, সভায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান ও দেশ বাঁচাও বন্দর বাঁচাও আন্দোলনের মূল সমন্বয়ক শাহাদাত হোসেন সেলিম।
বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, আমজনতা পার্টির সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান ।
Leave a comment