সাবেক ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক ভুক্তভোগী নারী। সোমবার (১৩ জানুয়ারি ২০২৫) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, তার স্বামী মৃত হাসান আহমেদ, যিনি পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং একজন সফল জুটমিলস ব্যবসায়ী ছিলেন। তার স্বামী ২০২০ সালে ব্রেন স্ট্রোকের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তার দেবর কবির আহমেদ, মূসা, এবং কর্মচারী বিদ্যুৎ ঘোষ ষড়যন্ত্র করে কোম্পানির ডকুমেন্ট চুরি ও তার স্বামীকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণ করেন।
২০২২ সালে স্বামী মারা গেলে, তার পরিবার কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই দেবরগণ ভুক্তভোগী, তার ৯০ বছর বয়সী মা এবং পরিবারের আরও আটজন সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পল্টন থানা পুলিশ এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিলে পুনরায় তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিবিকে।
ভুক্তভোগী নারীর দাবি, ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদ তাকে ডেকে ২ কোটি টাকা দাবি করেন। তিনি জানান, টাকা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হবে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর মামলায় চার্জশিট জমা দেওয়া হয়, যা আদালতে এখন চার্জ শুনানির অপেক্ষায়।
জান্নাতুল ফেরদৌস আরও জানান, তার স্বামীর কর্মচারী এবং দেবরদের যোগসাজশে তার সম্পত্তি ও ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করা হয়। তার স্বামীর অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে কয়েক কোটি টাকার ফ্ল্যাটসহ বিপুল সম্পদ আত্মসাৎ করা হয়।
ভুক্তভোগী তার সম্পত্তি পুনরুদ্ধার, জীবনের নিরাপত্তা, এবং ন্যায়বিচারের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে আর্তনাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমার পরিবার ভয়ংকর এক বাস্তবতার মুখোমুখি। সিনেমার গল্পকেও হার মানায় আমাদের পরিস্থিতি।”
এই ঘটনাটি শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং দেশের আইনশৃঙ্খলা এবং সম্পত্তি আত্মসাৎ ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছে। ভুক্তভোগীর বক্তব্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন অনেকে।
Leave a comment