যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি)-এর মহাপরিদর্শক পল মার্টিনকে হঠাৎ বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে ইমেলের মাধ্যমে জানানো হয় যে, তিনি অবিলম্বে তার পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন।
পল মার্টিনের কার্যালয় একদিন আগেই ট্রাম্প প্রশাসনের ইউএসএআইডি কর্মীসংকোচন নীতির সমালোচনা করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। এতে বলা হয়, কর্মীসংকোচন ও বিদেশি সহায়তার ওপর নিষেধাজ্ঞার ফলে মার্কিন করদাতাদের অর্থায়নে পরিচালিত ৮.২ বিলিয়ন ডলারের মানবিক সহায়তার যথাযথ ব্যবহারের নজরদারি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এর একদিন পরই মার্টিনকে বরখাস্ত করা হয়।
ইউএসএআইডির মহাপরিদর্শক কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বরখাস্তের কোনো আনুষ্ঠানিক কারণ জানানো হয়নি। অথচ আইন অনুযায়ী, প্রশাসনকে কংগ্রেসকে ৩০ দিনের নোটিশ দিয়ে ও সুনির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে ইন্সপেক্টর জেনারেল অপসারণ করতে হয়।
ইউএসএআইডি আফগানিস্তান, ইরাক, লেবানন, পাকিস্তান, সিরিয়া, পশ্চিম তীর, গাজা ও ইয়েমেনে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে। সংস্থাটি নিশ্চিত করে যে, এসব তহবিল সন্ত্রাসী সংগঠন যেমন হামাস, হিজবুল্লাহ, আইএসআইএস বা হুথিদের হাতে না যায়। কিন্তু কর্মীসংকোচনের ফলে এই যাচাইকরণ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত সূত্র জানিয়েছে, ইউএসএআইডির মহাপরিদর্শক অফিসের কর্মীদের ভবনে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন এক সপ্তাহ আগেই ওয়াশিংটনে ইউএসএআইডির সদর দপ্তর বন্ধের নির্দেশ দেয়, তারপরও কর্মীরা মঙ্গলবার পর্যন্ত সেখানে কাজ করছিলেন।
মার্টিনের বরখাস্তের ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ এর আগেও ট্রাম্প প্রশাসন একাধিক ফেডারেল সংস্থার মহাপরিদর্শকদের বরখাস্ত করেছে। তবে ইউএসএআইডির পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমে এটি কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
Leave a comment