লন্ডনে দুটি ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর নীতিশাস্ত্র উপদেষ্টার কাছে নিজেকে রেফার করেছেন সিটি মন্ত্রী ও আর্থিক দুর্নীতি মোকাবিলায় নিয়োজিত এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। তার এই পদক্ষেপকে অনেকে কার্যত আত্মসমর্পণ হিসেবে দেখছেন।
সোমবার ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, টিউলিপের বিরুদ্ধে সম্পত্তি ব্যবহারে স্বচ্ছতার অভাবের অভিযোগ ওঠায় তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রীদের স্বার্থ সম্পর্কিত স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস এখন তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো তদন্ত করবেন।
টিউলিপের চীনে ট্রেজারি প্রতিনিধি দলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তবে নীতিশাস্ত্র উপদেষ্টার তদন্তের কারণে তাকে ব্রিটেনেই থাকতে হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিক নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, “আমি স্পষ্ট করতে চাই যে, কোনো ভুল করিনি। তবে সন্দেহ নিরসনে আমি স্বাধীন তদন্ত চাই।” তিনি স্যার লরিকে চিঠি দিয়ে এই অভিযোগগুলোর নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, “সম্প্রতি আমার আর্থিক বিষয় এবং আমার পরিবারের সঙ্গে আগের সরকারের সম্পর্ক নিয়ে যেসব তথ্য প্রচারিত হয়েছে, তার বেশিরভাগই ভুল। তবে আমি চাই এ বিষয়ে কোনো বিভ্রান্তি না থাকে।”
কনজারভেটিভ দলের এমপিরা স্যার লরিকে এই সম্পত্তি অধিগ্রহণের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগেরও দাবি তুলেছেন।
টিউলিপ সিদ্দিক, যিনি ব্রিটিশ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন, তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তাকে চাপে ফেলেছে। যদিও তিনি নির্দোষ থাকার দাবি করেছেন, এই ঘটনা ব্রিটিশ রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
নীতিশাস্ত্র উপদেষ্টার তদন্তের ফলাফল তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
Leave a comment