ঝিনাইদহের মহেশপুরে সালিস বৈঠকের নামে ডেকে নিয়ে বিএনপির এক কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বিএনপির দাবি, স্থানীয় জামায়াত কর্মীরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। নিহত ব্যক্তি হলেন জাফর আলী (৫০), যিনি মহেশপুর উপজেলার কাজীরবেড় ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য এবং সামন্তা গ্রামের জীবননগরপাড়ার বাসিন্দা।
মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানিয়েছেন, গাছের মালিকানা নিয়ে জাফর আলীর সঙ্গে স্থানীয় জামায়াত কর্মী আমির মোড়ল, সজীব হোসেন ও আব্বাস আলীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধ নিষ্পত্তির কথা বলে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নেওয়া হয়। কিন্তু সালিসের বদলে তাঁকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের পরপরই বিএনপি সমর্থকেরা সামন্তা গ্রামে বিক্ষোভ মিছিল করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এলাকায় এখনও চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজ শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে উপজেলা বিএনপি প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক। এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা জামায়াতের আমির ফারুক হোসেন বলেন, ‘এটি স্থানীয় বিরোধ, কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়। এখানে সব দলের লোকজন ছিলেন, শুধু জামায়াত কর্মীরা পিটিয়ে মেরেছেন—এটি সত্য নয়।’
১২ মার্চ রাতেও মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় মাদ্রাসা মোড়ে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষে ছয়জন আহত হন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠল।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ উদ্দিন মৃধা জানিয়েছেন, রাতেই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a comment