সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আট দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এর আগে বিএনপি এবং দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের নিয়ে এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী, আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আগামী ৭ জুন সম্ভাব্য ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হতে পারে। তাই কর্মসূচি কিছুটা সংক্ষিপ্ত করে ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত আট দিনব্যাপী পালন করা হবে।’ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৩০ মে সকাল সাড়ে ১০টায় জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, গণদোয়া, খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ। এর আগের দিন অর্থাৎ ২৯ মে বিকেল তিনটায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত হবে স্মরণসভা।
দলীয় ঘোষণায় বলা হয়, ২৫ ও ২৬ মে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টন এবং গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ সারা দেশের প্রতিটি ইউনিট কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। এ ছাড়া বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহ জিয়াউর রহমানকে নিয়ে পোস্টার ও ব্যানার প্রকাশ করবে। একইসঙ্গে জাতীয় দৈনিকগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দুস্থদের মধ্যে চাল, ডাল ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি জেলা, উপজেলা, থানা এবং পৌর ইউনিটগুলোও স্মরণসভা, দোয়া মাহফিল এবং মানবিক সহায়তা কর্মসূচি পালন করবে বলে জানানো হয়।
১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর একাংশের হাতে নিহত হন। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার এবং জেড ফোর্সের অধিনায়ক জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। দলটি প্রতিবছর দিনটিকে তাঁর শাহাদাতবার্ষিকী হিসেবে পালন করে আসছে।
Leave a comment