জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্যানের সঙ্গে মাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তার পাঁচ বছরের সন্তান।
রোববার (৫ অক্টোবর) সকালে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতিভাঙা ইউনিয়নের চখার চর গ্রামে স্বামী এরশাদের বসতঘর থেকে গৃহবধূ শান্তি আক্তারের (২৫) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শিশু শান্ত জানায়—“আমরা রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখি আম্মু ফ্যানের সঙ্গে রশিতে ঝুলছে। আমি ডাকাডাকি করলে দাদি আর বড় জেঠা এসে রশি কেটে নামায়।”
নিহত শান্তি আক্তার বকশীগঞ্জ উপজেলার বগার চর ইউনিয়নের সাতভিটা গ্রামের মো. ধুলু মিয়ার মেয়ে। আট বছর আগে তার দেওয়ানগঞ্জের নুদু মিয়ার ছেলে এরশাদের সঙ্গে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।
শান্তির ছোট ভাই সজিব বলেন—“দুই দিন আগে বোন আমাদের বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। এ নিয়ে দুলাভাই ফোনে গালাগালি করে। রাগে অভিমানে বোন স্বামীর বাড়ি ফিরে যায়। এরপর সকালে ফোনে জানানো হয়, সে গলায় ফাঁস দিয়েছে। কিন্তু এসে দেখি, লাশ খাটে শোয়ানো। তখনই সন্দেহ হয়।”
ভাসুর মো. আশরাফ আলী বলেন— “আমাদের সঙ্গে শান্তির সম্পর্ক ভালো ছিল। ছোট ভাই এরশাদ কাঁচপুরে গাড়ি চালায়, সংসারের বাজার আমিই করতাম। সকালে চিৎকার শুনে ঘরে গিয়ে দেখি শান্তি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। পরে রশি কেটে খাটে শুইয়ে দিই।”
বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের মেম্বার ফরিদ মিয়া জানান, “মরদেহ খাটের ওপর ছিল। আশপাশে কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তবে কললিস্টে দেখা গেছে, রাত ১টা ৫৭ মিনিটে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ফোনে কথা হয়েছে। কী নিয়ে কথা হয়েছিল, তা জানা যায়নি।”
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ওসি নাজমুল হাসান বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
Leave a comment