জাপানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সানায়ে তাকাইচি। পার্লামেন্ট তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে, যা দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন মাইলফলক।
৬৪ বছর বয়সী তাকাইচি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও জাপান ইনোভেশন পার্টি (জেআইপি) যৌথ জোট সরকারের নেতৃত্ব দেবেন। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস) প্রথম দফার ভোটে তিনি ২৩৭ ভোট পান, ফলে দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রয়োজন হয়নি।
তাকাইচি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার-এর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। এলডিপির জুলাই নির্বাচনে পরাজয়ের পর তিন মাস ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নেতৃত্ব শূন্যতার অবসান ঘটালেন তিনি।
জোট গঠনের পর এক অনুষ্ঠানে তাকাইচি বলেন, “রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এই মুহূর্তে অপরিহার্য। স্থিতিশীলতা ছাড়া আমরা শক্তিশালী অর্থনীতি কিংবা কার্যকর কূটনীতি গড়ে তুলতে পারব না।”
দীর্ঘদিন ধরে জাপানের রাজনীতিতে “আয়রন লেডি” নামে পরিচিত সানায়ে তাকাইচি সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের অনুসারী হিসেবেও সুপরিচিত। রয়টার্স জানায়, নতুন দায়িত্বে তাকাইচির সামনে রয়েছে নানা চ্যালেঞ্জ- মন্দায় নিমজ্জিত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করা, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও সুসংহত করা এবং কেলেঙ্কারি ও অভ্যন্তরীণ বিভাজনে জর্জরিত শাসক দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা।
Leave a comment