জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গর্ভধারণী মা-নানা ও পরিবারের আরেক সদস্যসহ সড়কে নিহত হয়েছে এক নবজাতক। ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের বরগুনার আমতলীর কেওড়াবুনিয়া এলাকায় শনিবার (২১ জুন) দুপুর ২টার দিকে ইকরা পরিবহনের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতেই এক নবজাতকসহ নিহত হয়েছেন চারজন ।
নিহতরা হলেন- উপজেলার গাজীপুর সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ইবতেদায়ী শাখার সিনিয়র শিক্ষক মৌলভি আব্দুল আজিজ (৫৫), তার মেয়ে মোছাদ্দিকা (২৫), খালেদা (৪৫) ও একদিনের নবজাতক। তাদের বাড়ি আমতলীর সোনাখালী গ্রামে।
জানা যায়, দুপুরে গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের নলুয়াবাগী গ্রামের ওই নবজাতক তার গর্ভধারণী মা ও নানার সঙ্গে অটোরিকশায় চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী যাচ্ছিল। পথে আমতলী-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের কেওয়াবুনিয়া হাই স্কুল সংলগ্ন উত্তর পার্শ্ব রাস্তার সামনে ঢাকা থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশে ছেড়ে আসা ইকরা পরিবহনের নামে একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় অটোরিকশাটি। ঘটনাস্থলেই মারা যান নানা মৌলভী আব্দুল আজিজ, মা মোছাদ্দিকা বেগম ও মায়ের দাদি শাশুড়ি খাদিজা বেগম।
ভয়াবহ ওই সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয় নবজাতক ওই শিশুটি। পরে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের SCANU ইউনিটে। সেখানে রাত ৮টার দিকে শিশুটিও মারা যায়।
আমতলী থানার ওসি আরিফুল ইসলাম জানান, শনিবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকা থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশে ছেড়ে আসা ইকরা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে আমতলীর কেওড়াবুনিয়া এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় একটি অটোরিকশার। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় অটোরিকশাটি। ঘটনাস্থলেই মারা যান বাবা-মেয়ে।
তাদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে প্রথমে খালেদা নামে এক নারী ও পরে একদিনের নবজাতকটিও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বাসচালক ও হেলপার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই পালিয়ে যান। পুলিশ , বাসটি জব্দ করেছে। বাসচালকের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
Leave a comment