চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সায়েরা আক্তার বিথী নামে এক গৃহবধূ। উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের মানিকরাজ গ্রামের জাল্লা বাড়িতে শনিবার (২১ জুন) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
মানিকরাজ গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. সাগরের স্ত্রী হলেন নিহত বিথী। তার বাবার বাড়ি পাবনা জেলায়। তবে আত্মহত্যার কারণ নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের অনেকেই সন্দেহজনক বলছেন ঘটনাটিকে। বিথীর মৃত্যু নিযে দানা বাধছে রহস্য ।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে হয় বিথী ও সাগরের। স্বজনরা দাবি করেছেন, দাম্পত্য জীবনে কোনো অস্বাভাবিকতা ছিল না । এক বছর আগে জীবিকার তাগিদে সাগর সৌদি আরবে পাড়ি জমান সাগর।
বিথীর শাশুড়ি খাদিজা বেগম জানান, বিথী শনিবার দুপুরে মোবাইল ফোনে সাগরের সঙ্গে কথা বলে, আমার রুমে কিছুক্ষণ বসে থাকে। একপর্যায়ে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। ঘুমানোর আগেই আমার রুমের দরজা বাইরে থেকে টেনে বন্ধ করে দেয় সে। কিছুক্ষণ পর ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া পাই না।
পরে পাশের ঘরের ভাবিকে ডেকে দরজা খুলি। তখন দেখি বিথীর নিজের রুমের দরজাও ভেতর থেকে বন্ধ। জানালা দিয়ে উঁকি দিয়েও বোঝা যাচ্ছিল না কিছু। পরে জানালায় ধাক্কা দিয়ে জানালা খুলি, তখন দেখি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়েছে বিথী।
চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে উদ্ধার করে বিথীর নিথর দেহ। তবে আত্মহত্যার নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানাতে পারেননি খাদিজা বেগম।
পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে থানায় খবর দেওয়া হলে ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
স্থানীয়রা জানান, পাশের বাড়ির জহিরের ছেলে শান্তর স্ত্রী পাঁচ-সাত দিন আগে বিথীর শ্বশুরবাড়িতে এসে তাকে বকাঝকা করেন। তারা অভিযোগ করেন, শান্তর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতেন বিথী। এই বিষয়ে শান্তর স্ত্রী তার সংসার নষ্ট না করার জন্য বিথীকে অনুরোধ করেন এবং গালিগালাজ করে চলে যান।
পরে বিথীর শাশুড়ি খাদিজা বেগম ছেলে সাগরকে এ ঘটনা জানান । সাগর তখন মাকে বলেন, বিথীকে যেন মোবাইল ব্যবহার করতে না দেওয়া হয়।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহ্ আলম বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আত্মহত্যা । একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
Leave a comment