কক্সবাজারের টেকনাফে অভিনব কৌশলে গ্যাস সিলিন্ডারের ভেতরে ইয়াবা লুকিয়ে পাচারের সময় ৪৪ হাজার ৪০০ পিস ইয়াবাসহ দুইজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পুরাতন মেরিন ড্রাইভ রোড এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—টেকনাফের উত্তর লম্বরীপাড়ার মৃত মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর ছেলে মো. ইয়াসিন (৩৯) এবং ছোট হাবীরপাড়ার আবু সামাদের ছেলে রহমত উল্লাহ (২৯)।
টেকনাফস্থ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফের পর্যটক মোড় সংলগ্ন পুরাতন মেরিন ড্রাইভ সড়কে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসানো হয়। এ সময় টেকনাফ থেকে কক্সবাজারগামী একটি প্রাইভেটকারকে থামানো হয়।
প্রাইভেটকারে থাকা যাত্রীদের সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ্য করে গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশির সময় গাড়িতে দুটি গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি সিলিন্ডার কেটে দেখা যায়, ভেতরে বিশেষভাবে লুকানো রয়েছে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা।
অভিযানের সময় গাড়িতে থাকা ইয়াসিন ও রহমত উল্লাহকে ঘটনাস্থলেই আটক করা হয়। উদ্ধার করা ইয়াবাসহ তাদের টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছে।
বিজিবির কর্মকর্তারা মনে করছেন, মাদক পাচারকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে দিন দিন নতুন নতুন কৌশল ব্যবহার করছে। এর আগে ইয়াবা লুকানো হতো বাস, ট্রাক, মালামালের ভেতরে বা শরীরে। এবার গ্যাস সিলিন্ডারের ভেতর লুকিয়ে পাচারের চেষ্টা নজিরবিহীন।
টেকনাফ ও কক্সবাজার সীমান্ত এলাকা মাদক পাচারের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই কুখ্যাত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত অভিযান চালালেও পাচারচক্র নানা অভিনব পদ্ধতি ব্যবহার করে মাদক দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্ত অঞ্চলে মাদকবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করা হবে। একই সঙ্গে যাত্রীবাহী ও প্রাইভেট যানবাহনে তল্লাশি কার্যক্রম বাড়ানো হবে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, “যে কোনো মূল্যে মাদক পাচার রোধে বিজিবি সর্বদা প্রস্তুত।
Leave a comment