গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ছে। যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ তুলে ইসরায়েল নতুন করে আক্রমণ চালাচ্ছে । অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০ হাজার ১০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ৩৫০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন।
বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার গাজায় ইসরায়েলের একটি ড্রোন হামলায় একই পরিবারের দুই শিশু নিহত হয়। পরিবারের সদস্যরা জানান, দুই ভাই জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে বাইরে গিয়েছিল। ওই সময়ই তারা ড্রোন হামলার শিকার হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) বিবিসিকে জানায়, তারা দুইজন ‘সন্দেহভাজনকে’ লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যারা ‘হলুদ রেখা’ বলে পরিচিত একটি সীমা অতিক্রম করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী এই রেখার পেছনে ইসরায়েলি বাহিনীর সরে যাওয়ার কথা ছিল।
মিডিয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহত দুই ভাইয়ের বয়স ছিল যথাক্রমে প্রায় আট ও দশ বছর। পরিবারের দাবি, তারা খান ইউনুসের পূর্বাঞ্চলে কাঠ খুঁজতে গিয়ে ড্রোন হামলার শিকার হয়। পরে নাসের হাসপাতালে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
যুদ্ধ চলাকালীন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য সাধারণত জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে নির্ভরযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হলেও ইসরায়েল এসব তথ্যকে নিয়মিত প্রশ্নবিদ্ধ করে আসছে। অন্যদিকে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের গাজায় স্বাধীনভাবে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। ফলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষের দাবি যাচাই করা বিশ্ব গণমাধ্যমের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
সূত্র: বিবিসি
Leave a comment