আজ, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে, যা হামাসের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে অনুমোদন পেয়েছে। শুক্রবার দীর্ঘ আলোচনা ও ভোটাভুটির পর, ইসরাইলের মন্ত্রিসভা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মঞ্জুর করেছে, যেখানে ২৪ জন মন্ত্রী সমর্থন জানালেও ৮ জন বিরোধিতা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এর পরই সরকার যুদ্ধবিরতি ও বন্দিমুক্তির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করেন। এই যুদ্ধবিরতি আজ থেকে কার্যকর হবে, যদিও গত দুই দিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, এবং গত ১৫ মাসে প্রায় অর্ধলাখ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, আর লক্ষাধিক আহত হয়েছেন।
যুদ্ধবিরতির আওতায়, আগামী ছয় সপ্তাহ গাজায় পূর্ণ যুদ্ধবিরতি থাকবে। প্রথমে ৩৩ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে, যার মধ্যে আজই ৩ জন বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। এর পর, ইসরাইল প্রথম দফায় ৭৩৭ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে, তবে এক ইসরাইলি বন্দি ছাড়া হলে। গাজার ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করে, প্রতিদিন ৬০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় পাঠানো হবে।
এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আগামী ছয় সপ্তাহের জন্য একটি স্পেশ্যাল টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন, যারা মুক্তি পাওয়া ৩৩ জন বন্দিকে স্বাগত জানাবে। ইসরাইলের কারা বিভাগ জানিয়েছে, বন্দিদের মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের সাহায্য না নিয়ে, তারা নিজে বন্দিদের মুক্তি দেবে। গাজার বন্দিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য একটি স্বাস্থ্য ফোরাম গঠন করা হয়েছে, কারণ অনেক বন্দির ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকতে পারে, যেহেতু তারা দীর্ঘদিন টানেলে আটক ছিলেন।
Leave a comment