গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের আলোচিত অটোরিকশা চালক শহিদুল হত্যাকাণ্ডের রহস্য পুলিশ উদঘাটন করেছে। সেই সাথে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুইজনকে।
গাইবান্ধা পুলিশ সুপার হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে বুধবার (০২ জুলাই) দুপুরে এসব কথা জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরিফুল ইসলাম।
মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম শিবরাম গ্রামের মৃত ফজল হকের ছেলে নিহত অটো রিকশা চালক শহিদুল ইসলাম গত ২৮ জুন বিকালে অটো নিয়ে ভাড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। পরদিন সকালে একটি বিলে পাওয়া যায় তার মরদেহ।
পুলিশ এরপরেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ ৩০ জুন রাতে নিহত শহিদুলের বন্ধু মোশারফ হোসেন মুশফিক ও ০১ জুলাই রাতে শান্ত মিয়াকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে তারা দুজনেই।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, পূর্বের কথাকাটাটির জের ধরে ২৮ জুন রাতে মোশারফ হোসেন মুশফিক ও শান্ত মিয়া, সুন্দরগঞ্জের চাকুলিয়া বিলে নিয়ে গিয়ে
অতিরিক্ত গাজা সেবন করায় শহিদুল ইসলামকে । পরে গলায় রশি পেচিয়ে শহিদুলকে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। বিক্রির জন্য অটোরিকশার ব্যাটারি খুলে নেয়। বুধবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ আব্দুল হাকিম, ডিএসবির অফিসার ইর্নচাজ আব্দুল লতিফ, কায়সার আলীসহ অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন ।
Leave a comment